ইরানের পাল্টা হামলায় কেঁপে উঠলো তেলআবিব ও জেরুজালেম, উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য

ছবিঃ সংগ্রহকৃত
ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব ও অধিকৃত জেরুজালেমে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনায় আবারো কেঁপে উঠেছে গোটা অঞ্চল। শনিবার মধ্যরাতে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, এই ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইরান দাবি করেছে, শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, হাইপারসোনিক মিসাইলও ব্যবহার করা হয়েছে এই পাল্টা হামলায়। শনিবার রাতের ঠিক আগে, তেলআবিব ও জেরুজালেমে বিস্ফোরণের পর পরই দ্বিতীয় দফা হামলার শব্দ শোনা যায়, যা পুরো এলাকাকে আতঙ্কিত করে তোলে।
সূত্র জানায়, এর আগে ইসরাইল ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় আক্রমণের চেষ্টা চালায়। ওই এলাকায় অবস্থান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামিনী। ইসরাইলের হামলায় ইরানের সামরিক স্থাপনা এবং পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করা হয়। হামলায় নিহত হন ইরানের একজন শীর্ষ জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য।
এই ঘটনার পরই তেহরান দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইরান শতাধিক ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইলের দিকে। এরপর শুক্রবার মধ্যরাতে তেলআবিব ও জেরুজালেমের আকাশে শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি।
আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজধানী তেহরানে ইসরাইলি আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্রিয় রয়েছে। পরিস্থিতির অবনতির কারণে তেহরানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এই পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ চিত্র জানা যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, ইরান ও ইসরাইলের এই উত্তেজনা দ্রুতই একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে। ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত কেবল দুই দেশের নয়, বরং পুরো অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ভয়াবহভাবে জটিল করে তুলবে।