ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে ব্যাপক ধ্বংস, আতঙ্কে ইসরাইল

                   
তেলআবিবে ধ্বংসের চিত্র
                 
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ জুন 19, 2025 7:59 অপরাহ্ন
                       
                           

ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কেন্দ্রস্থলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে সৃষ্টি হয় ধ্বংসস্তুপের স্তূপ। আতঙ্কিত মানুষ ভবন থেকে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে বেরিয়ে আসে, অনেকে গুরুতর আহত হন।

বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসরাইলের জরুরি উদ্ধার বিভাগ। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন শহরের আকাশ, কান ফাটানো বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। সরেজমিনে উপস্থিত একজন প্রতিবেদক জানান, একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে একটি বেসরকারি ভবনে, যেটি তেল আবিবের প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত।

এদিন দক্ষিণ ইসরাইলের বেয়ার সেবাতেও হামলা চালায় ইরান। ইসরাইল সরকার জানিয়েছে, বেয়ার সেবার সরোকা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্রের একটি অংশ আঘাত হেনেছে। হামলার পরপরই চারদিকে ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলী দেখা যায় এবং শোনা যায় আতঙ্কিত মানুষের চিৎকার। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গাভীর। তিনি পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে তেল আবিবের হোলন এবং জেরুজালেমেও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েকদিনের মধ্যে এটি ইরানের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং এর ব্যাপ্তি ও তীব্রতা ইসরাইলের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এর আগে ইসরাইলের এত গভীরে এ ধরনের আক্রমণ দেখা যায়নি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ইরানে হামলা বন্ধ হলেই এই লড়াই থামবে। শুরু করেছে ইসরাইল, থামাতে হবে তারাই। না হলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও কঠিন পরিণতি।”

অন্যদিকে, হামলার ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি। লুতফরার কোভিদ নামে একজন ক্ষতিগ্রস্ত বলেন, “এই যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝানোর ভাষা নেই। আমাদের বাঁচতে দিন। এই সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ হোক।”

ইসরাইল-ইরান মধ্যকার চলমান এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অশান্তির ছায়া ফেলেছে। আন্তর্জাতিক মহলে বাড়ছে উদ্বেগ।

                           

তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

                 
0%
0%
0%
0%