শেখ হাসিনার ‘ভারতে ড. ইউনূসকে নিয়ে বক্তব্য’ ভিডিও ভুয়া, বলছে রিউমর স্ক্যানার

                   
শেখ হাসিনার ‘ভারতে ড. ইউনূসকে নিয়ে বক্তব্য’ ভিডিও ভুয়া, বলছে রিউমর স্ক্যানার
                 
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ জুন 11, 2025 8:55 পূর্বাহ্ন
                       
                           

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে প্রকাশ্যে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে কড়া সমালোচনা করেছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, “আওয়ামী লীগ নাকি তারা রাখবে না, নিশ্চিহ্ন করে দেবে। ওরা কি ভেবেছে? আওয়ামী লীগ কি ভেসে এসেছে, না কারো পকেট থেকে বের হয়েছে?” পাশাপাশি, ড. ইউনূসকে “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল” করার অভিযোগও করতে শোনা যায়।

তবে এ ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে, অনুসন্ধানে নামে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এটি একটি সম্পাদিত ও বিভ্রান্তিকর ভিডিও

রিউমর স্ক্যানার তাদের অনুসন্ধানে জানায়, ভিডিওটির শুরুতে উপস্থাপিকা বলছেন শেখ হাসিনা নাকি ভারতে গিয়ে ড. ইউনূসকে নিয়ে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেখ হাসিনার মুখে শোনা বক্তব্যটি প্রকৃতপক্ষে দুইটি আলাদা বক্তব্য থেকে কেটে সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে।

তারা আরও জানায়, ভিডিওতে শেখ হাসিনার যে পোশাক এবং মাইক্রোফোন দেখা গেছে, তা গত বছরের ২৫ জুলাই দেশ টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত একটি ভিডিওর সঙ্গে মিলেছে। ওই দিন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন শেষে একটি বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সে ভিডিওতে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মন্তব্য ছিল না।

এছাড়াও, ভিডিওতে থাকা অডিও বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভিডিওর দ্বিতীয় অংশে ব্যবহার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ২০২৫ সালের ২২ মে প্রচারিত শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের অংশ।

অর্থাৎ, ভিডিওটি মূলত দুটি ভিন্ন সময়ের বক্তব্য জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং রাজনৈতিক অপপ্রচার চালানো।

রিউমর স্ক্যানার স্পষ্টভাবে জানায়, শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে এমন কোনো বক্তব্য দিয়েছেন — এমন কোনো প্রমাণ জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি সঠিক নয় এবং এটি বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া উপস্থাপন, এমনটাই বলছে ফ্যাক্টচেকাররা। সাধারণ মানুষকে এমন বিভ্রান্তিকর ভিডিও শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

                                             
সম্পর্কিত-
0%
0%
0%
0%