নামাজ কত ওয়াক্ত ও কি কি?

নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ হিসেবে নির্ধারিত। প্রতিটি ওয়াক্ত নামাজের নির্দিষ্ট সময় ও রাকাত সংখ্যা রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে প্রতিটি নামাজ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো—
১. ফজর নামাজ (ভোরের নামাজ)
- সময়: সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।
- রাকাত সংখ্যা: ২ রাকাত সুন্নত (মুয়াক্কাদা) + ২ রাকাত ফরজ = মোট ৪ রাকাত।
২. জোহর নামাজ (দুপুরের নামাজ)
- সময়: সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে আসরের আগ পর্যন্ত।
- রাকাত সংখ্যা: ৪ রাকাত সুন্নত (মুয়াক্কাদা) + ৪ রাকাত ফরজ + ২ রাকাত সুন্নত (মুয়াক্কাদা) + ২ রাকাত নফল (অতিরিক্ত ইবাদত) = মোট ১২ রাকাত।
৩. আসর নামাজ (বিকেলের নামাজ)
- সময়: জোহরের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত।
- রাকাত সংখ্যা: ৪ রাকাত সুন্নত (গাইরে মুয়াক্কাদা) + ৪ রাকাত ফরজ = মোট ৮ রাকাত।
৪. মাগরিব নামাজ (সন্ধ্যার নামাজ)
- সময়: সূর্যাস্তের পর থেকে এশার সময় শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।
- রাকাত সংখ্যা: ৩ রাকাত ফরজ + ২ রাকাত সুন্নত (মুয়াক্কাদা) + ২ রাকাত নফল = মোট ৭ রাকাত।
৫. এশা নামাজ (রাতের নামাজ)
- সময়: মাগরিবের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সুবহে সাদিকের আগে পর্যন্ত।
- রাকাত সংখ্যা: ৪ রাকাত সুন্নত (গাইরে মুয়াক্কাদা) + ৪ রাকাত ফরজ + ২ রাকাত সুন্নত (মুয়াক্কাদা) + ২ রাকাত নফল + ৩ রাকাত বিতর (ওয়াজিব) + ২ রাকাত নফল = মোট ১৭ রাকাত।
অতিরিক্ত নফল ও সুন্নত নামাজসমূহ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও কিছু বিশেষ নফল নামাজ রয়েছে, যেমন—
- তাহাজ্জুদ – গভীর রাতে পড়া হয়, আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম উপায়।
- চাশত/দুহা – সকাল বেলা সূর্য ওঠার পর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত পড়া হয়।
- ইশরাক – সূর্য ওঠার পর কিছুক্ষণ পরে পড়া হয়।
- আওয়াবিন – মাগরিবের পর ৬ রাকাত নফল নামাজ।
- তাহিয়্যাতুল মসজিদ – মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাত নফল নামাজ।
- সালাতুল হাজত – কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য পড়া হয়।
- সালাতুত তাওবা – গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য পড়া হয়।
নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এবং মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ঈমানদারের প্রধান দায়িত্ব। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও জান্নাত লাভের জন্য আমাদের অবশ্যই নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
0%
0%
0%
0%