শরীয়তপুরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় দুজন আটক

শরীয়তপুরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন—শরীয়তপুর জেলা যুবদলের স্থানীয় নেতা আবদুর রশিদ হাওলাদার ও নারায়ণ পোদ্দার। সোমবার ২০ অক্টোবর দুপুরে মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের মনোহর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়কের মনোহর বাজার মোড় হয়ে প্রতিদিন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় একটি চক্র ট্রাক থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিল। তারা শরীয়তপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপচালক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে রসিদ ব্যবহার করে প্রতিটি ট্রাকচালকের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করত।
আজ দুপুরে চালকদের অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি মনোহর বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায় করছিল। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের মারধর করা হয়। কয়েকজন ভুক্তভোগী চালক বিষয়টি শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় গরুরহাটের ইজারাদার আতিক মোল্যার কাছে জানান।
আতিক মোল্যা জানান, তিনি কয়েক দিন ধরেই চাঁদাবাজির খবর পাচ্ছিলেন। আজও চালকরা তাঁর কাছে অভিযোগ করেন যে, “শ্রমিক কার্ড চেকের” নামে ৫০০ টাকা করে জোর করে আদায় করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে তিনি পালং মডেল থানায় যোগাযোগ করেন। পরে ট্রাকচালকদের সহায়তায় আবদুর রশিদ হাওলাদার ও নারায়ণ পোদ্দারকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
আবদুর রশিদ হাওলাদার শরীয়তপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ট্রাকচালক জাকির মাতবর অভিযোগ করে বলেন, “আমার মতো শত শত ট্রাকচালকের কাছ থেকে শ্রমিক কার্ডের অজুহাতে চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল।”
অন্যদিকে, আবদুর রশিদ হাওলাদার দাবি করেন, “চাঁদা নয়, শ্রমিক কার্ড যাচাই করা হচ্ছিল। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছিল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী।”
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, “সড়কে দাঁড়িয়ে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগে স্থানীয় জনতা দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় দেয়। তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
