আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিচ্ছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিচ্ছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ মে 10, 2025 10:08 পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর জাতিসংঘের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যান বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী সংগঠন হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং এটি নিষিদ্ধের দাবি দেশজুড়ে উঠছে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনসিপি) নেতারা রাজধানীর মিন্টু রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও একাত্মতা প্রকাশ করেন। চলমান সেই সমাবেশ ও জাতীয় চাপের প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিবৃতিটি প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচারী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদনকে বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ দাবির যথার্থতা যাচাই করছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে এবং সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, প্রচলিত আইনের আওতায় ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনা সম্পর্কে সরকারের অবস্থানও স্পষ্ট করা হয়। জনমনে ক্ষোভের বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে নিয়েছে এবং এর সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

0%
0%
0%
0%