চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযান চলছে

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় অবস্থিত একটি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস একযোগে কাজ করছে।
সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সবহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পর এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর পাশে অবস্থিত আরেকটি পোশাক কারখানা ‘অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইলস’-এর কার্যক্রম আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর জানান, এখনও কেউ কারখানার ভেতরে আটকে আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন।
আজ শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে সিইপিজেডের রোড নম্বর ৫, সেক্টর নম্বর ১–এর ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্টেশন থেকে আসা ১৬টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কারখানাটির সপ্তম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সাধারণত শ্রমিকরা কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কাজ করেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সব শ্রমিককে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ইপিজেডের ভেতরে অবস্থিত একটি মেডিকেল অ্যাকসেসরিজ প্রস্তুতকারক পোশাক কারখানায় ঘটেছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায়। ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে।
তিনি বলেন, “আমরা বর্তমানে ভবনের পঞ্চম তলায় পৌঁছেছি। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য ষষ্ঠ ও সপ্তম তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা। বৈদ্যুতিক লাইনের উপস্থিতি এবং সীমিত প্রবেশপথের কারণে ভবনে ঢোকা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।”
জসিম উদ্দিন আরও জানান, প্রায় ২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কারখানায় দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
ঘটনাস্থল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা — পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও শিল্প পুলিশ — সাধারণ মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে।
