কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ: মিসাইল হামলা, পাল্টা প্রতিক্রিয়া ও প্রাণহানি

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ: মিসাইল হামলা, পাল্টা প্রতিক্রিয়া ও প্রাণহানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ মে 7, 2025 8:41 পূর্বাহ্ন

কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। গভীর রাতে ভারতের বিশেষ অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একযোগে নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত এবং আরও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অপারেশন সিদুর’ নামে একটি সমন্বিত অভিযান চালানো হয়েছে, যেখানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী একসাথে অংশ নেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, এই হামলা শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছে এবং কোনো বেসামরিক স্থাপনা টার্গেট করা হয়নি।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, তারা কাশ্মীরের ভারত-অধ্যুষিত অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, যেখানে একটি ভারতীয় ব্রিগেডের সদর দপ্তর ও একটি চেকপোস্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসপিআর দাবি করেছে, এই হামলায় একাধিক ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে।

গভীর রাত থেকে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC) বরাবর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত তাদের বেসামরিক নাগরিক অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে মসজিদও ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তান বলেছে, তারা শিগগিরই প্রমাণ উপস্থাপন করবে কিভাবে ভারত বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো পাকিস্তানের পাল্টা হামলা বা তাদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। মোদি সরকারও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২২শে এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারত সরাসরি পদক্ষেপে যায় এবং পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। কাশ্মীর সীমান্তে চলমান এই সংঘর্ষ আরও বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

0%
0%
0%
0%