আবু ত্বহা আদনানের স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের ফেসবুক স্ট্যাটাসে চাঞ্চল্য: “উস্তাদ প্রেমে মজেছেন পুরনো প্রেয়সী এয়ার হোস্টেসের সাথে”

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ 11 অক্টোবর 2025, 03:04 অপরাহ্ন
আবু ত্বহা আদনানের স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের ফেসবুক স্ট্যাটাসে চাঞ্চল্য: “উস্তাদ প্রেমে মজেছেন পুরনো প্রেয়সী এয়ার হোস্টেসের সাথে”

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তার স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাস। সেখানে তিনি তার স্বামীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন, যা বর্তমানে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্ট্যাটাসে সাবিকুন্নাহার লিখেছেন—

“এয়ার হোস্টেসদের মেবি সেলিব্রিটি পছন্দ, আর সেলিব্রিটিগণও মেবি এয়ার হোস্টেস ডিজার্ভ করে। আপনাদের উস্তাদ আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেসের। তখন তিনি টাকাহীন ছিলেন বলে পরিবার সম্পর্কটি মেনে নেয়নি, এখন সেই নারীই নাকি উস্তাদকে চাচ্ছেন।”

সাবিকুন্নাহারের দাবি অনুযায়ী, আবু ত্বহা ও ওই এয়ার হোস্টেসের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। তারা ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলেন, এমনকি সেন্টারে বসে বা অফিসে সাক্ষাৎ করেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তার অভিযোগ, “উস্তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস ও প্রশিক্ষণের নামে নারীদের সঙ্গে একান্তে দেখা করার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যে ব্যক্তি মুখে কো-এডুকেশন (নারী-পুরুষ একসাথে শিক্ষা গ্রহণ) ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন, তিনিই নিজের প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার আয়োজন করছেন।”

স্ট্যাটাসে তিনি আরও দাবি করেন—

“আমার বিছানায় বসে তিনি ওই এয়ার হোস্টেস নারীর সঙ্গে প্রেম করেন। সেন্টারে কাজ আছে বলে রাত ৩টায় বাসায় আসেন, এসে জানান প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলেছেন।”

সাবিকুন্নাহার তার লেখায় আরও উল্লেখ করেন যে, এয়ার হোস্টেস জারিন জেবিনের আগেও তার স্বামী রংপুরের এক আলেমা মেয়ের সঙ্গেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে তিনি আগের মেয়েটিকে বাদ দেন বলে দাবি তার স্ত্রীর।

তিনি আরও লেখেন,

“এমন লিস্ট অভাব নেই। দেখা যাক ফাইনালি উস্তাদ কার হোন।”

স্ট্যাটাসের শেষাংশে সাবিকুন্নাহার জানান, এই ঘটনাগুলোর কারণে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাই তার অনলাইন তালিম (ধর্মীয় শিক্ষা সেশন) সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন,

“মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট ফিল করছি না বিধায় এবারের অনলাইন তালিম স্থগিত করা হলো। ইনশাআল্লাহ আগামী মাসের প্রথম শনিবার থেকে আবার শুরু হবে। সবাই দু’আ করবেন, আমি গুনাহগার, রবের দয়ার মুখাপেক্ষী।”

ফেসবুকে পোস্টটি প্রকাশের পরই তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। বহু অনুসারী বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন— কেউ সাবিকুন্নাহারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, কেউ আবার বিষয়টিকে ব্যক্তিগত পরিসরের ঘটনা হিসেবে না ছড়িয়ে গোপন রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন।

তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ঘটনাটি ইসলামি বক্তার ব্যক্তিজীবন ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে, যা দেশের অনলাইন মাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে।

সম্পর্কিত- জানা অজানা
0%
0%
0%
0%