মুজিবনগর সরকারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত, জানালেন উপদেষ্টা ফারুকি আজম

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মুজিবনগর সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জারি হওয়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর আলোকে এই ঘোষণা দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকি আজম। বুধবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ডাক্তার, নার্স, এবং বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরাও সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।
উপদেষ্টা ফারুকি আজম জানান, যারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে স্বীকৃত হবেন, তারা একটি সনদ পাওয়ার অধিকার রাখবেন। যদিও পদবী পরিবর্তন হতে পারে, তবে তাঁদের মর্যাদায় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, মুজিবনগর সরকার নিজে এবং তাদের দ্বারা গঠিত ও স্বীকৃত অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। অর্থাৎ, যারা সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে কাজ করেছেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন।
ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন,
“মুজিবনগর সরকারের মধ্যে যারা ছিলেন, যেমন—শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামান, এমনকি খন্দকার মোশতাক আহমদ—তাঁরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।”
রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই সংশোধিত অধ্যাদেশের গ্যাজেট জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।