সংক্রমণ বাড়লেও নির্ধারিত সময়েই এইচএসসি পরীক্ষা, স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি ঘোষণা

ছবিটি এইআই দিয়ে তৈরী
দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু সংক্রমণ। এ অবস্থায় ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫ এ সাড়ে ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এবার এই পরীক্ষায় অংশ নেবে।
❗ সংক্রমণ বাড়লেও পেছাচ্ছে না পরীক্ষা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানালেও শিক্ষা বোর্ড বলছে, এখনো পরিস্থিতি পরীক্ষার সময় পেছানোর মতো হয়নি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন,
“করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণের বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি। অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন—এটা স্বাভাবিক। তবে সামনে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আসছে। তাই এখন পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই। যথাসময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে।”
তিনি আরও জানান,
“পরীক্ষাকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে সেটি আরও বাড়ানো হবে। করোনাকালে যেভাবে আসন বিন্যাস হয়েছিল, সেই পদ্ধতিতেই এবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রসচিবদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
🧴 স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তায় জোরালো প্রস্তুতি
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন,
“মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। পরীক্ষাকক্ষে দূরত্ব বজায় রেখে আসন বণ্টনের পাশাপাশি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর নির্দেশনা থাকবে।”
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক সফিউদ্দিন সেখ জানিয়েছেন,
“পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। এখনো হাতে ১১ দিন সময় রয়েছে। রোববার (১৫ জুন) অফিস খোলার পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি ও আসনবিন্যাস বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
🧑🎓 এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৮২ হাজার
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফরম পূরণ করেছেন মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।
গত বছর (২০২৪) পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন, অর্থাৎ এবছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন।