পুলিশ ও ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে উত্তেজনা, লাঠিচার্জ ও আহতের ঘটনা

ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ ও ধস্তাধস্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ মার্চ 11, 2025 11:52 পূর্বাহ্ন

পুলিশ ও ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যখন বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনুসের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনাটি ঘটে বিকেল ৩:২০ মিনিটের দিকে, ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে।

“বাংলাদেশ এগেইনস্ট রেপ অ্যান্ড অপ্রেশন” ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং হোটেলের সামনে পৌঁছায়।

তারা যখন রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে ডান দিকে মোড় নেয়, তখন পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়।

বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, আর বিক্ষোভকারীরাও কিছু পুলিশ সদস্যকে মারধর করে বলে জানা গেছে।

বিক্ষোভকারীদের একজন, অদ্রিতা রায় অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের প্রতিবাদ করছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাদের, বিশেষ করে নারীদের, আক্রমণ করেছে।”

তিনি স্বরাষ্ট উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।

“আজকের মিছিলে নারীরা সামনের সারিতে ছিলেন। এই মিছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পোষা পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের নয় দফা দাবির একটি ছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ।

“তিনি পদত্যাগ করেননি, বরং নারীদের মিছিল পুরুষ পুলিশ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। ব্যাটন চার্জের পর মেয়েদের মাটিতে ফেলে লাথি মারা হয়েছে। যারা আমাদের আক্রমণ করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। কোনো ক্ষমা নেই। তারা আমাদের বাধ্য করেছে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে, যার মূল দাবি হবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ।

“আমরা অনেক সময় দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আপনার সময় নেই,” তিনি যোগ করেন।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, বিক্ষোভকারীদের হামলায় অন্তত আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের নয় দফা দাবির মধ্যে আরও ছিল ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন, এবং ধর্ষণের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।

সম্পর্কিত-
0%
0%
0%
0%