সিরিয়াকে বিভক্ত করার চক্রান্ত করছে ইসরায়েল, মন্তব্য প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা’র
ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি, উপসাগরীয় দেশগুলোর তীব্র নিন্দা

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিরিয়াকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, “এই জাতিকে বিভক্ত করার কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেওয়া হবে না।”
তিনি তার বক্তব্যে বিশেষভাবে দ্রুজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এই জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করা আমাদের সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার।”
এই ভাষণ আসে ইসরায়েলের টানা এক দিনের বিমান হামলার পর। দামেস্কের নিকটবর্তী কাতানো শহর থেকে পাওয়া ফুটেজে দেখা যায়, ইসরায়েলি বিমান হানা দিয়েছে শহরের বিভিন্ন অংশে, যেখানে বেসামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরায়েল যে ধরণের হামলা চালিয়েছে তা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উপর সরাসরি আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
ইসরায়েলের এই হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। ছয় সদস্যবিশিষ্ট উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ যার মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই হামলা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন এবং এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।”
পরিষদ আরও জানায়, “ইসরায়েল তাদের সামরিক শক্তিকে ব্যবহার করে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ভেদাভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু সিরিয়ার জনগণ তাদের দীর্ঘ ইতিহাসে বারবার প্রমাণ করেছে, তারা কোনো ধরনের বিভাজন মেনে নেয় না। শক্তি থাকলেই জয় আসে না।”
সিরিয়ার পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, দেশটির ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপোষ চলবে না, এবং ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা সর্বোচ্চ কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।