যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারি: গাজায় সংঘাত বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি

যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারি: গাজায় সংঘাত বন্ধ না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ জুলাই 31, 2025 10:17 পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল যুক্তরাজ্য। ফ্রান্স, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের পর এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ঘোষণা দিলেন—আগামী সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য, যদি ইসরাইল গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এবং ব্রিটেনকেও একই পথে হাঁটার আহ্বান জানায়। নিজ দেশের আইন প্রণেতাদের চাপ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এবার কঠোর অবস্থান নিল লন্ডন। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য—নিরাপদ ইসরাইল ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনের সহাবস্থান। কিন্তু দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান আজ হুমকির মুখে।”

তিনি জানান, শুধু গাজায় সংঘাত বন্ধ নয়, পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের অবসান ও মানবিক ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করাও যুক্তরাজ্যের শর্ত। এই শর্ত পূরণ না হলে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে ব্রিটেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন স্টারমার।

তবে এই ঘোষণার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটেনের সিদ্ধান্তকে “হামাসের সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনের মত একটি জিহাদী রাষ্ট্র ভবিষ্যতে ব্রিটেনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।”

বিজ্ঞাপন

এই ইস্যুতে সম্প্রতি স্কটল্যান্ড সফরে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, “এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই পদক্ষেপ মানে হামাসকে উপহার দেয়া। আমি সেই দলে নেই, এবং এটি সমর্থন করি না।”

উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বিশ্বের ১৩৯টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত বছর স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড এই তালিকায় যুক্ত হয়। এবার মালটা ঘোষণা দিয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপের পরাশক্তিগুলোর এমন অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। তবে এ পদক্ষেপে ইসরাইলের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।

100%
0%
0%
0%