চীন সফরে মোদি-শি বৈঠক: ভারত-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই নেতার অঙ্গীকার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও চীনের বন্ধুত্বে কল্যাণ হবে সমগ্র পৃথিবীর। চীনের সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। অপরদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও বলেন, ভারত ও চীনের জন্য বন্ধুত্ব করাই সঠিক পথ। সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের পর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই নেতা।
সাত বছর পর প্রথমবারের মতো এসসিও-র দুই দিনের বৈঠকে যোগ দিতে চীন সফরে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ নেতারাও অংশ নিচ্ছেন। ফলে এ সম্মেলনকে গ্লোবাল সাউথের সংহতি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সম্মেলনের প্রথম দিনেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। তিনি বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্কে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। গত বছর কাজানে হওয়া আলোচনার ফলপ্রসূতা সম্পর্কের ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে জানিয়ে মোদি বলেন, দুই দেশের প্রায় ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্য দিয়ে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের পথও সুগম হবে। বৈঠকে তিনি কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালু এবং ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভারত-চীন সরাসরি বিমান চলাচল আবারও শুরু করার ঘোষণা দেন। তবে কবে থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাননি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “ভারত ও চীন বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা, পাশাপাশি বিশ্বের দুই সর্বাধিক জনবহুল দেশ। আমরা গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে একসঙ্গে অগ্রসর হওয়া অত্যন্ত জরুরি।”
এদিকে মূল বৈঠক শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে সে বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি।