এমোন-হৃদয়ের লড়াই, তানজিমের ঝড়ো ইনিংসে (ban vs sl)২৪৮ রানে থামলো বাংলাদেশ

পারভেজ হোসেন ইমন ঝলমলে ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ৬৭ রানের কার্যকর (ban vs sl) ইনিংস, মাঝের ওভারগুলোতে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নেন তাওহীদ হৃদয়, যিনি করেন ৫১ রান। আর শেষদিকে তানজিম হাসান সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৪৮ রান।
স্পিনবান্ধব উইকেট এবং রান তাড়া করার জন্য কুখ্যাত এই ভেন্যুতে বাংলাদেশ যে সংগ্রহ করেছে তা স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে স্পিন শক্তি বাড়াতে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শামিম হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে লিটন দাসের জায়গায়।
এই ম্যাচের আগের ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার ২৪৪ রানের বিপরীতে হেরে গিয়েছিল ৭৭ রানে। এবার ব্যাট হাতে তারা কিছুটা দৃঢ়তা দেখাতে সক্ষম হয়।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে ভয়ংকর ছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ক্রস-ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ পেসার হিসেবে নিজেকে আরও প্রতিষ্ঠিত করলেন তিনি।
অন্যদিকে লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও বল হাতে সফল ছিলেন। দুর্দান্ত এক গুগলিতে বোল্ড করেন ইমনকে, পরে দুই টেলএন্ডারকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন। তার ৯.১ ওভারে খরচ হয় ৬০ রান।
প্রথম ওয়ানডেতে না খেলা দুশমন্ত চামিরাও এ ম্যাচে ছিলেন নজরকাড়া। ঘন্টায় ১৪০ কিমি বেগে বল করে ৭ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংসের সেরা জুটি ছিল শুরুর দিকেই। তানজিদ হাসান তৃতীয় ওভারে আসিথার স্লোয়ারে আউট হলেও ইমন এগিয়ে নেন দলের দায়িত্ব। নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ১৪ রান করলেও দুজনে মিলে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ইমন বিশেষ করে লেগসাইডে সুযোগ পেলেই মারমুখী ছিলেন। তার ৭২% রানই এসেছে লেগসাইডে। তিনটি ছক্কার দুটি ছিল ডিপ মিডউইকেটের ওপরে।
হৃদয় তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে খেলেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৪। তিনি মূলত স্কয়ার অঞ্চলে রান তুলেছেন, অফসাইডে হাঁকিয়েছেন মাত্র দুটি চার। মাঝের ওভারগুলোতে আসিথার তোপে উইকেট হারালেও হৃদয় ইনিংস ধরে রাখেন।
শামিম হোসেন ও জাকের আলি দুজনেই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ২০ রান করে দলকে এগিয়ে নেন। শেষদিকে ব্যাট হাতে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন ৮ নম্বরে নামা তানজিম হাসান সাকিব। ২১ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংসের শেষভাগে রীতিমতো ঝড় তোলেন।
হাসারাঙ্গার একটি ওভারে দু’টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসকে টেনে নেন তিনি। ওই একই ওভারে হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুস্তাফিজুর রহমান।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশ ৪৮.১ ওভারে গুটিয়ে গেলেও তাদের ২৪৮ রানের সংগ্রহ ঘরের মাঠে লঙ্কানদের জন্য সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার পালা, বাংলাদেশ বোলাররা এই রানকে কীভাবে ডিফেন্ড করে।