জাতীয় নির্বাচনে জোট করলেও প্রতীক হবে নিজ দলের: আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ 23 অক্টোবর 2025, 07:06 অপরাহ্ন
জাতীয় নির্বাচনে জোট করলেও প্রতীক হবে নিজ দলের: আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন

জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচনী জোট গঠন করা গেলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে—এমন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পৃক্ততা

অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এ জন্য আর আলাদা কোনো সরকারি আদেশের প্রয়োজন হবে না।

ইভিএম বাতিল, ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত

খসড়ায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো সংসদীয় আসনে যদি একজন প্রার্থী থাকেন, সেক্ষেত্রে ভোটাররা চাইলে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া নির্বাচনে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

পলাতক আসামিরা নির্বাচন করতে পারবেন না

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী যেসব ব্যক্তি বিভিন্ন মামলায় পলাতক, তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

প্রার্থীদের সম্পদের তথ্য প্রকাশ

নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের এখন থেকে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি উৎসের সকল আয় ও সম্পদের বিবরণ দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, এসব তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করা হবে যাতে নাগরিকরা সহজে জানতে পারেন।

জামানত ও প্রশাসনিক পরিবর্তন

খসড়ায় প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচনী কার্যালয়কে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। নতুন বিধানগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের আস্থা আরও বাড়বে।”

সম্পর্কিত- নির্বাচন
0%
0%
0%
0%