হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির, জামিন নামঞ্জুর – ইনু ও জর্জ কারাগারে

হাসানুল হক ইনু ও সেলিম আলতাফ জর্জ কুষ্টিয়ার আদালতে হাজির, হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পুলিশের পাহারায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ মার্চ 12, 2025 12:44 পূর্বাহ্ন

হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির, জামিন নামঞ্জুর – ইনু ও জর্জ কারাগারে।হাসানুল হক ইনু ও সেলিম আলতাফ জর্জ হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজির, জামিন নামঞ্জুর

কুষ্টিয়ার দুই সাবেক সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও সেলিম আলতাফ জর্জকে একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজির করা হয়েছে।

ইনু তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন, তবে আদালত তা নামঞ্জুর করে দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, আদালতে হাজির করার সময় হাতকড়া পরানোর বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে ইনু ও তাঁর আইনজীবীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়, যা সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি করে বলে উপস্থিত আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

মামলার বিবরণ

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন।

পরে তিনি ৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ৭০ থেকে ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে মামলার ৩৭ নম্বর আসামি এবং সেলিম আলতাফ জর্জকে ৩৩ নম্বর আসামি করা হয়।

আদালতে হাজিরকরণ ও জামিন আবেদন

মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইনু ও জর্জকে হাতকড়া পরিয়ে, পুলিশ ভেস্ট ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে হাজির করা হয়।

হাতকড়া পরার বিষয়ে আপত্তি

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে আপত্তি জানান ইনু। তাঁর আইনজীবীরা জানান, কাঠগড়ায় বসার নির্দেশ পেয়ে ইনু পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “আমি কেন হাতকড়া পরা অবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড়াব?”

তবে পুলিশ কোনো উত্তর না দিলে এ নিয়ে ইনু, তাঁর আইনজীবী এবং পুলিশ সদস্যদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারকের ব্যক্তিগত কক্ষে গিয়ে পরামর্শ নেন এবং ফিরে এসে ইনুর এক হাতের হাতকড়া খুলে দেন।

অন্যদিকে, সেলিম আলতাফ জর্জ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি এক পর্যায়ে একজন উপ-পরিদর্শক তাঁর হাতকড়া খুলতে গেলে তিনি তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন।

জামিন আবেদন ও আদালতের রায়

শুনানির সময় ইনুর আইনজীবী আকরাম হোসেন জামিনের আবেদন করেন, তবে উপ-পরিদর্শক জিলানি আপত্তি জানান, ফলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এরপর জর্জ আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, “একজন আসামিকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা মানে হাতকড়া পরা বিচারব্যবস্থা।”

এ সময় আদালত তাঁর হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন, তবে জর্জ তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বিচারক উভয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

0%
0%
0%
0%