প্রধান উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ 11 অক্টোবর 2025, 05:20 অপরাহ্ন
প্রধান উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, তেজগাঁওয়ে গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ডিজিটাল যুগে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ অধ্যাদেশটি প্রণয়ন করেছে।

বিজ্ঞাপন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, ডিজিটাল পরিবেশে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তির ন্যায্য ব্যবহার এবং উদ্ভাবনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনে এ অধ্যাদেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ব্যক্তিগত উপাত্তের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, স্থানান্তর ও বিনষ্টকরণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করছে সরকার।

৫৭টি ধারা সম্বলিত এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত উপাত্তের মালিকানা থাকবে উপাত্তধারীর কাছেই। উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে উপাত্তধারীর সুস্পষ্ট সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিশু বা সম্মতি দিতে অক্ষম ব্যক্তির তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে অভিভাবক বা আইনগত প্রতিনিধির অনুমতি প্রয়োজন হবে। উপাত্তধারী যে কোনো সময় তার দেওয়া সম্মতি প্রত্যাহার করার অধিকারও রাখবেন।

বিজ্ঞাপন

এতে সংবেদনশীল ব্যক্তিগত উপাত্ত শর্তসাপেক্ষে প্রক্রিয়াকরণের বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা, জনস্বার্থ, অপরাধ প্রতিরোধ, শিক্ষা ও গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সম্মতি ব্যতিরেকে উপাত্ত ব্যবহারের সুযোগও রাখা হয়েছে।

সরকার ব্যক্তিগত উপাত্তকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে— উন্মুক্ত, অভ্যন্তরীণ, গোপনীয় ও সীমাবদ্ধ। অধ্যাদেশের বিধান লঙ্ঘন, অননুমোদিত প্রবেশ বা অপব্যবহারের ক্ষেত্রে দণ্ড ও প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া নির্দিষ্ট সময় পরপর স্বতন্ত্র উপাত্ত নিরীক্ষক কর্তৃক উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের অডিটের ব্যবস্থা থাকবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উপাত্ত বিনিময় ও সংযুক্তির সুযোগও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আইসিটি বিভাগ মনে করে, ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিকের গোপনীয়তা সুরক্ষায় নতুন মানদণ্ড স্থাপিত হবে এবং তথ্যনির্ভর উদ্ভাবনে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

0%
0%
0%
0%