সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর: কোথায় বিনিয়োগ লাভজনক?

আপনার কাছে যদি ২ থেকে ৩ লাখ টাকা জমে থাকে, তবে অনেকেই ভাবেন কোথায় রাখবেন—সঞ্চয়পত্রে নাকি ব্যাংকের এফডিআর-এ । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকি কমানোর জন্য টাকা ভাগ করে সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর—দুটো জায়গাতেই বিনিয়োগ করাই ভালো।
বিজ্ঞাপন
সঞ্চয়পত্র
বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম। ব্যাংকিং জটিলতা থাকলেও সরকার-নির্ভর এই আর্থিক খাতে জনগণের আস্থা দীর্ঘদিনের।
সুবিধা
- সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকায় টাকা হারানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
- এফডিআরের চেয়ে বেশি মুনাফা—বর্তমানে গড়ে প্রায় ১২ শতাংশ।
- দীর্ঘমেয়াদে নিশ্চিত রিটার্ন।
- কর ছাড় বা ট্যাক্স রিবেটের সুযোগ।
- প্রয়োজনে ভাঙানো যায়, অনেকেই সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য এটি কেনেন।
অসুবিধা
বিজ্ঞাপন
- ক্রয়ের সীমা রয়েছে; যেমন, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা এবং পেনশন সঞ্চয়পত্র সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ভাঙালে মুনাফা কমে যায়।
- মুনাফা থেকে উৎসে কর কাটা হয়।
- হঠাৎ নগদ টাকার দরকার হলে সীমিত সুযোগ।
এফডিআর
এফডিআর বা ফিক্সড ডিপোজিট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য টাকা রেখে মুনাফা তোলার সুযোগ। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই এফডিআর করা যায়।
সুবিধা
- মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুযোগ—৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত।
- এফডিআর-এর বিপরীতে ঋণ নেওয়া যায়, সাধারণত ৯০ শতাংশ পর্যন্ত।
- কিছু ব্যাংক মাসিক বা ত্রৈমাসিক মুনাফা দেয়, যা নিয়মিত আয়ের উৎস হতে পারে।
- জরুরি প্রয়োজনে তুলনামূলক সহজে ভাঙানো যায়।
অসুবিধা
- সুদের হার সঞ্চয়পত্রের তুলনায় কম—গড়ে ৬ থেকে ৯ শতাংশ।
- এফডিআর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের স্থিতিশীলতার ওপর।
- মেয়াদ শেষের আগেই ভাঙালে সুদ কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপত্তা ও বেশি মুনাফার জন্য সঞ্চয়পত্র কার্যকর হলেও জরুরি সময়ে সহজে নগদ টাকার প্রয়োজনে এফডিআরও একটি ভালো বিকল্প। তাই ঝুঁকি ও লাভ দুটোই ভারসাম্য রাখতে বিনিয়োগ ভাগ করে দেওয়া উত্তম।
0%
0%
0%
0%