ধামরাইয়ে ট্রিপল মার্ডার: মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার লোভে জামাইয়ের হাতে নিশ্চিহ্ন এক পরিবার

ধামরাইয়ে ট্রিপল মার্ডার: মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার লোভে জামাইয়ের হাতে নিশ্চিহ্ন এক পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক ধামরাই
সংশোধনঃ জুন 5, 2025 7:07 অপরাহ্ন

মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার লোভে এক মর্মান্তিক ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকার ধামরাইয়ে। গত ২ জুন ধামরাইয়ের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন নারগিস বেগম ও তার দুই ছেলে।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ডেকোরেটর দোকান বিক্রির টাকাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহ থেকে। ঘটনার তদন্তে নামে ধামরাই থানা পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ ইউনিট পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। তদন্তের পর ৪ জুন নিহত নারীর মেয়ের জামাই রবিনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

পিবিআই জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে রবিন স্বীকার করেছেন, তিনিই একা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। রবিন বলেন, “আমি একাই ঘরে প্রবেশ করি, একাই তিনজনকে হত্যা করি। ১৭ বছর বয়সী শালককে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করি। সে চিৎকার করেছিল, কিন্তু সেই শব্দ কেউ শুনতে পায়নি।”

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ডেকোরেটর দোকান বিক্রির প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে রবিনকে বঞ্চিত করা হয় বলে তার অভিযোগ। এছাড়াও শালকের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ও শাশুড়ির সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধও ছিল হত্যার পেছনের কারণ।

পিবিআই আরও জানায়, ঘটনার দিন রবিন কৌশলে বাড়িতে ঢুকে একে একে তিনজনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। রবিনের দাবি, তার শ্বশুরের নামে থাকা ডেকোরেটর ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে এবং ক্ষোভে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

তবে, এখনো সেই অর্থের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি। পিবিআই বলছে, তারা টাকা উদ্ধারের চেষ্টাসহ মামলার তদন্ত আরও গভীরভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত-
0%
0%
0%
0%