বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যাকাণ্ড: প্রধান আসামী গ্রেফতার

ছবি সংগ্রহকৃত
রাজধানী ঢাকার বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মামলার প্রধান আসামী মেহেরাজ ইসলামকে। তাকে গাইবান্ধা থেকে আটক করে র্যাব। এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে, বিচার দাবিতে সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেল শনিবার (২০ এপ্রিল) বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাছে একটি দোকানে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামী মাহাতির হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা অভিযোগ করেন, ঘটনার পেছনে থাকা দুই নারী ছাত্রীকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা বলেন, “সবাই শুধু আসামিদের ধরতেছে। মেইন কারিগর তো হচ্ছে ওই মেয়ে দুইটা। মেয়ে দুইটার কথা কেউ বলতেছে না। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?”
এদিকে র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত কারণ জানতে হলে সব আসামিকে গ্রেফতার করতে হবে। র্যাব আরও জানায়, এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নারী ছাত্রী এবং কয়েকজন বহিরাগতকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, “ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে ইগো-নির্ভর একটি চ্যালেঞ্জের মতো মনোভাব তৈরি হয়েছে। এটি সমাজের নানা জায়গায় দেখা যাচ্ছে। আমরা মূলত এখন অপরাধের আসল রহস্য খুঁজে বের করতে চাই। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের কাছে বড় বিষয় নয়।”
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ রয়েছে। পারভেজ হত্যাকাণ্ড নতুন করে সেই উদ্বেগকে সামনে নিয়ে এসেছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।