আরব লীগের সম্মেলনে গাজা সংকট, সিরিয়া ও ইরানের বিষয় প্রধান আলোচনার বিষয়

আরব লীগের সম্মেলনে গাজা সংকট, সিরিয়া ও ইরানের বিষয় প্রধান আলোচনার বিষয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
সংশোধনঃ মে 17, 2025 3:42 অপরাহ্ন

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে শুরু হয়েছে আরব লীগের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বর্ধিত আক্রমণকে কেন্দ্র করে এই সম্মেলনে প্রধানত ফিলিস্তিনি সংকটের বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরানের পরিস্থিতিও বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে থাকবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের ঠিক পরের দিন শুরু হওয়া এই সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রথম আরব নেতারূপে বাগদাদে পৌঁছান। যদিও অধিকাংশ গালফ দেশ মন্ত্রিসভার পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজকেও অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের গাজায় চলমান সেনা অভিযানের কঠোর নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

গত জানুয়ারিতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে গাজায় বর্বরতা বেড়েছে। ইসরায়েল অবিরাম আক্রমণ ও অবরোধের মাধ্যমে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে খাদ্য ও জরুরি সামগ্রীর অভাবে ফেলে দিয়েছে। আরব লীগের প্রস্তুতিমূলক সভায় ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন বলেন, কায়রো সম্মেলনে গৃহীত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনাকে সমর্থন দেওয়া হবে, যেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও স্থানচ্যুতি হবে না।

এছাড়া সিরিয়ার সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা অনুমোদন না পেয়ে সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তার পরিবর্তে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শৈবানি প্রতিনিধিত্ব করছেন। সিরিয়ায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা আসায় এ বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পাবে।

ইরান ও মার্কিন পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কেও আলোচনা হবে, যেখানে ট্রাম্প বলেন, সমঝোতার “সিদ্ধির খুব কাছাকাছি”। তবে ইরানের দেরি করলে “খারাপ কিছু ঘটতে পারে” বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ সংকটের পর সাম্প্রতিককালে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে পেয়েছে ইরাক। দেশটির নেতৃত্ব এই সম্মেলনকে আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য এবং সহযোগিতার নতুন এক অধ্যায় শুরু করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।

শীর্ষ সম্মেলনটি ২০১২ সালের পর ইরাকে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা ইরাকের কূটনৈতিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের বড় এক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সূত্রঃ আল জাজিরা

0%
0%
0%
0%