সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যা পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র!

সিরিয়ার সদ্য নিয়োজিত প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ডেমোক্রেটিক সিনেটর। তার দাবি, মার্কিন প্রশাসন সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এবং এই ষড়যন্ত্র চলছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত জর্ডানের রাজার হস্তক্ষেপেই এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র।
২৫ বছর পর কোনো সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এক টেবিলে বৈঠক ঘিরে ইতোমধ্যেই আলোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে ‘সারা-ট্রাম্প বৈঠক’। সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার জনগণ।
কিন্তু এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের আড়ালে ছিল ভয়াবহ এক ষড়যন্ত্র। মার্কিন সিনেটের এক শুনানিতে ডেমোক্রেট সিনেটর জিন শাহীন অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক সদস্য আহমেদ আল সারাকে হত্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং বৈঠকের আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন ট্রাম্পের ওপর।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম মিডল ইস্ট জানিয়েছে,
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে ট্রাম্পকে হুঁশিয়ার করেন। তিনি জানান, হঠাৎ করে সিরিয়ার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনলে দেশটি আবার সর্বাত্মক গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। জিন শাহীনও দাবি করেছেন, জর্ডানের রাজার কাছ থেকেই তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন।
ঘটনার পরপরই সৌদি আরবে ট্রাম্প-সারা বৈঠকের আগের রাতেই সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে পুনর্গঠনের সুযোগ দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে আহমেদ আল সারা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। আল-কায়েদার সাবেক এই নেতার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিল এফবিআই।
বর্তমানে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়াকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়ার পদক্ষেপকে অনেকেই স্বাগত জানাচ্ছেন, তবে এই হত্যাচেষ্টার তথ্য বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।