কাকরাইলে সংঘর্ষে গুরুতর আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর

কাকরাইলে সংঘর্ষে গুরুতর আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশঃ আগস্ট 30, 2025 9:19 পূর্বাহ্ন

রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ২৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ এর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এবং “গুরুতর ” অবস্থায় রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

২৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে রাত আটটার দিকে গণঅধিকার পরিষদের মশাল মিছিল ঘিরে আবারও সংঘর্ষ বাধে। গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সময় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা আকস্মিকভাবে লাঠিচার্জ করে তাদের নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হয়। এসময় নুরুল হক নুর, দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ ৫০ জনের বেশি আহত হন।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হানিফ রাত সাড়ে ১০টায় সাংবাদিকদের বলেন,
“আমাদের সভাপতি নুর গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাক ও চোখের পাশে আঘাত পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আমাদের কাছে হামলার ভিডিও ফুটেজ আছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনে এসে প্রথমে আক্রমণ করে। পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা মাঠে নামে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন,
“নুরের অবস্থা গুরুতর। নাক ও চোখের পাশে আঘাতের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আছে। চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে রেখেছেন। এ হামলা নিন্দনীয়, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”

এদিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার সময় তাদের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা দাবি করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার অনুরোধ করলেও মিছিলকারীরা সহিংসতা চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। জননিরাপত্তার স্বার্থে বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, মিছিল শেষে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করা হচ্ছে।

ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দলের পরবর্তী কর্মসূচি জানাতে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন—নুরুল হক নুরকে সেনা সদস্যরা কার নির্দেশে রক্তাক্ত করল। তারা দাবি করেছে, এই হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে লুকানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িত থাকতে পারে।

সম্পর্কিত- নুর
0%
0%
0%
0%