ঢাকা সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার: চুক্তি ও সমঝোতা সই

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান রবিবার এক চুক্তি, চারটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি কর্মসূচি সই করেছে। দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠক পরিচালনা করেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, আর পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন ইসহাক দার।
চুক্তি সই
- সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি।
সমঝোতা স্মারক সই
- বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
- দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা
- বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) ও পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (এপিপি)-এর মধ্যে সহযোগিতা
- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং ইসলামাবাদের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইএসএসআই)-এর মধ্যে সহযোগিতা
কর্মসূচি সই
- বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি (Cultural Exchange Programme – CEP)।
এর আগে সকালে ইসহাক দার বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠক করেন।
আজ বিকেলে তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ২টার দিকে তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শফিকুর রহমানের বাসায় যাবেন।
সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রাতের দিকে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ।
ইসহাক দার শনিবার বিকেল ২টার দিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসময় তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম।
প্রথম দিন তিনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক সম্পর্কসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, তিনি বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।