মিশিগানে মরমন চার্চে ভয়াবহ বন্দুক হামলা: নিহত ৪, আহত বহু

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক শহরে একটি মরমন চার্চে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে উপাসনার সময় চালানো এ হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
মিশিগানে কীভাবে ঘটল হামলা?
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড (৪০)। তিনি প্রথমে নিজের গাড়ি চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডে সেইন্টস ভবনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। এরপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি চার্চে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে মুহূর্তেই পুরো ভবন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।
এফবিআইয়ের তদন্ত
এফবিআই এ ঘটনাকে টার্গেটেড ভায়োলেন্স হিসেবে তদন্ত করছে। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেন,
“সহিংসতার এই ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হামলার পেছনে উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা কী ছিল, তা বের করতে কাজ চলছে।”
বিজ্ঞাপন
পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হামলাকারী নিহত হন। তবে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতির কারণে চার্চের ভেতরে এখনও কেউ আটকে আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চার্চে সাহসী ভূমিকা
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সময় চার্চে উপস্থিত উপাসনাকারীরা শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তারা স্থানীয় মানুষ ও প্রথম সাড়া প্রদানকারীদের (ফার্স্ট রেসপন্ডার) ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন,
“যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের ওপর আরেকটি লক্ষ্যভিত্তিক হামলা এটি। আমাদের দেশে সহিংসতার মহামারী এখনই বন্ধ করতে হবে।”
হামলাকারী কে ছিলেন?
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্যানফোর্ড একজন সাবেক মেরিন। তিনি চার্চ থেকে প্রায় ২০ মিনিট দূরে বাস করতেন। তার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী কয়েকদিনে বিস্তারিত জানা যেতে পারে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
শোকের ছায়া
ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের স্মরণে স্থানীয় বাসিন্দারা মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রার্থনা করেছেন। অনেকেই বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন—
“মানুষ আজ চার্চেও নিরাপদ নয়।”
তথ্যসূত্র: বিবিসি