নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আইসিসি ও গুগলের ঐতিহাসিক চুক্তি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নারী ক্রিকেটে ভক্তদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। শুক্রবার এই নারীকেন্দ্রিক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের কথা জানায় আইসিসি।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে গুগলের আধুনিক প্রযুক্তি ও নারীর খেলাধুলাকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটকে আরও সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। আইসিসি বলছে, নারী ক্রিকেটে ভক্তদের কাছে খেলার মুহূর্ত, খেলোয়াড় ও গল্প আরও ঘনিষ্ঠভাবে পৌঁছে দেওয়াই এ চুক্তির লক্ষ্য।
আগামী ১০ মাসে দুটি বড় বৈশ্বিক আসর সামনে—২০২৫ সালের আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ (ভারত ও শ্রীলঙ্কা) এবং ২০২৬ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস)। ঠিক এমন সময়ে এ অংশীদারিত্ব নারী ক্রিকেটের দৃশ্যমানতা ও জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে চলতি বছরই আইসিসি প্রথমবারের মতো ইউনিলিভারের সঙ্গে বৈশ্বিক নারী ক্রিকেট অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছিল। এবার গুগলকে যুক্ত করা নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে আরও এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গুগলের বিভিন্ন পণ্য যেমন অ্যান্ড্রয়েড, গুগল জেমিনি, গুগল পে ও গুগল পিক্সেল—এই সমন্বিত প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম ব্যবহার করে ভক্তরা ম্যাচের হাইলাইটস দেখা থেকে শুরু করে জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই আরও ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা পাবেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন,
“গুগলের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব নারী ক্রিকেটের জন্য এক মাইলফলক। গুগলের বিশ্বমানের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা ভক্তদের জন্য আরও আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারব এবং ক্রিকেটকে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দিতে পারব। নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রসার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার এটাই সঠিক সময়।”
গুগল ইন্ডিয়ার মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখর খোসলা বলেন,
“ক্রিকেট সবসময়ই ছিল সম্প্রদায় আর যৌথ আবেগের খেলা। আইসিসির সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নারী ক্রিকেটের ভক্তদের খেলার আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে চাই। এই অংশীদারিত্ব শুধু একটি টুর্নামেন্ট ঘিরেই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে নারী ক্রিকেটকে আরও সহজলভ্য ও গভীরভাবে ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টা।”
তথ্যসূত্র: ICC