জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত হবে: নাহিদ ইসলাম

এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আশা প্রকাশ করেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুতই পাওয়া যাবে।

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নাহিদ ইসলাম এ মামলার একজন সাক্ষী। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুজন।

নাহিদ বলেন,

“জুলাই অভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রথম দাবি ছিল আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকারের হাতে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের বিচার। আমরা আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যেই ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, এ মামলার বাইরে সারা দেশে নির্যাতন, দমন-পীড়ন, গুম ও হত্যার বহু ঘটনা রয়েছে। সেগুলোর বিচারও দীর্ঘ সময় ধরে চলবে।

“আমরা চাই, জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়েও যেন বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। এজন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক এবং সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহারেও এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হোক,” যোগ করেন তিনি।

প্রসিকিউটরের বক্তব্য

আইসিটি প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হওয়ায় আজ নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি রেকর্ড হয়নি। তবে আগামীকাল তা গ্রহণ করা হতে পারে।

মাহমুদুর রহমান এ মামলার ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার অগ্রগতি

মামলাটি বিচার করছেন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে আছেন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে সাবেক আইজিপি মামুন দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ার আবেদন করলে তা গৃহীত হয়। তিনি মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে হাজির হন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটিতে আরও দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে এবং অপরটি রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।