জুলাই আন্দোলনের হত্যাযজ্ঞে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলামের জবানবন্দী

জুলাই আন্দোলনের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা দেওয়া এ জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম জানান,
আন্দোলন ভাঙতে তাকে ও অন্যান্য সমন্বয়কদের গুম করে নির্যাতন চালানো হয় এবং নাশকতার দায় জোর করে জামায়াত-বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়। তিনি বলেন, ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন নতুন সরকার গঠনের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দেশের সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তাকে ভাবা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রধানদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুম-খুনে জড়িতদের এক বছরেও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ভিক্টিমদের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করে নাহিদ ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন,
“আমি শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রধানদের দায়ী করেছি। তাদের বিচার ও কঠোর শাস্তি আদালতের কাছে প্রত্যাশা করছি।”
চিফ প্রসিকিউটর মনে করেন, নাহিদ ইসলামের জবানবন্দী মামলার প্রমাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন,
“তিনি যা বলেছেন তা মামলার প্রেক্ষাপট ও আসামিদের ভূমিকা স্পষ্ট করেছে। যেহেতু তিনি আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা ছিলেন, তার সাক্ষ্য মামলাটিকে আরও শক্তিশালী করবে।”
এদিন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পোড়ানোর মামলারও তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।