ত্রয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন: আস্থার সংকট ও এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার বড় চ্যালেঞ্জ

ত্রয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করছে ইসি কর্মকর্তারা। শনিবার খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে এক সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএম নাসিরউদ্দিন। এ সময় তিনি আসন্ন নির্বাচনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতি চালু করতে হলে সংবিধান ও আইন সংশোধনের প্রয়োজন হবে। তবে আইন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে প্রচলিত নিয়মেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। রাতের আঁধারে আর কোনো নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
নির্বাচনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অপব্যবহারকে উল্লেখ করে সিইসি জানান, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কারও কণ্ঠ ও বক্তব্য নকল করে হুবহু মিথ্যা তথ্য প্রচার করা সম্ভব। এমনকি ইউরোপের একটি দেশে এআই-সম্পর্কিত অপপ্রচারের কারণে একটি নির্বাচন স্থগিত করতে হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, “এটা আধুনিক একটি হুমকি— অস্ত্রের চেয়েও মারাত্মক।”
তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপতথ্য প্রচারও এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। “একজন ফেসবুকে একটি ভুল তথ্য দিলে যাচাই-বাছাই না করেই হাজারো মানুষ তা শেয়ার করে দেয়। এতে করে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে মিথ্যা তথ্য পৌঁছে যায়।”
এছাড়া ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করাও নির্বাচন কমিশনের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন সিইসি এএম নাসিরউদ্দিন। তাঁর মতে, “নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করাই এখন কমিশনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সব পক্ষের সহযোগিতা চেয়ে নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।
তথ্যসূত্র: E.C.