ভাতারা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণের মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর

ঢাকার একটি আদালত রাজধানীর ভাতারা এলাকায় ছাত্রদের বিরোধিতামূলক আন্দোলনের সময় এনামুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তফিজুর রহমান সোমবার (২০ মে) এ জামিনের আদেশ দেন। নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক ৫,০০০ টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রোববার (১৮ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে। পরে তাকে ভাতারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন সোমবার (১৯ মে) তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে, নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সারাহ ফারজানা হক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে পরবর্তীতে আরেক হাকিম মোস্তফিজুর রহমানের আদালতে জামিনের নতুন আবেদনের শুনানিতে জামিন মঞ্জুর করা হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, ভাতারা থানাধীন এলাকায় অনুষ্ঠিত ‘জুলাই বিপ্লব’ নামক ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এনামুল হক। সেসময় অভিযুক্তরা সেখানে গুলি চালান এবং একটি গুলি এনামুল হকের পায়ে লাগে। তিনি অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি ২০২৫ সালের ৩ মে ভাতারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন শিল্পী এবং মোট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে নুসরাত ফারিয়ার নামও রয়েছে।
এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আবার কেউ দাবি করছেন আইন অনুযায়ীই সব কিছু হয়েছে।