ইসলামিক বক্তা আবু তোহা মোহাম্মদ আদনানকে ঘিরে পরকীয়া বিতর্ক, পরে স্ত্রী সারার ক্ষমা প্রার্থনা

ইসলামিক বক্তা আবু তোহা মোহাম্মদ আদনানকে ঘিরে সম্প্রতি ধর্মীয় অঙ্গনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন। বিষয়টির সূত্রপাত তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহর এক ফেসবুক পোস্ট থেকে, যেখানে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন।
সারার দাবি ছিল, আবু তোহা নাকি এক বিমানবালা জরিনা জাবিনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত এবং তার প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা চলে। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
পোস্টটি প্রকাশের পর মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ ধর্মীয় বক্তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আবার অনেকেই এমন ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
তবে একদিন পরেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সারা নিজের পোস্টটি মুছে ফেলে নতুন একটি স্ট্যাটাসে স্বামীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। সেখানে তিনি লেখেন, “কিছু হিংসুক ব্যক্তি আমাকে ভুল তথ্য দিয়েছিল, যা যাচাইয়ের পর মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এমন পোস্ট দিয়েছিলাম, যার জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত।”
এরপরই আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান নিজ ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আমার স্ত্রীর আগের পোস্টগুলো আমার প্রতি তার ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিষয়টি এমন জায়গায় গিয়েছিল।” তিনি স্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আদনান জানান, তার প্রতিষ্ঠান কারো ব্যক্তিগত অর্থে নয়; বরং মানুষের অনুদান ও দান ব্যয় হয় ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ সহায়তা, দাওয়াতি কার্যক্রম ও সেমিনার আয়োজনে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে ‘মিক্সিং’-এর কোনো সুযোগ নেই। মহররম স্থানে নারী ও পুরুষ একসাথে অবস্থান করে না; শারিয়ার সীমা কঠোরভাবে মানা হয়।”
ঘটনাটি যেমন দ্রুত ছড়িয়েছিল, তেমনি দ্রুতই মীমাংসিত হয়েছে। তবুও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনাকে ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন — ধর্মীয় নেতাদের ব্যক্তিগত জীবনের এমন বিতর্ক কি তাদের দাওয়াতি কর্মকাণ্ডে মানুষের আস্থা নষ্ট করছে না? অন্যদিকে সমর্থকেরা বলছেন, এটি শুধুই এক পরিবারের ভুল বোঝাবুঝি, যা এখন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে।