ভোলায় নদী থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা

ভোলায় নদী থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক বোরহানউদ্দিন
সংশোধনঃ সেপ্টেম্বর 25, 2025 10:24 পূর্বাহ্ন

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদী থেকে গত মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে জেসমিন বেগমের (৩২) মরদেহ। তিন দিন আগে প্রতিবন্ধী ছেলেকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়রা শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মা জেসমিনকে আর বাঁচানো যায়নি।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে মায়ের আত্মত্যাগ হিসেবে দেখা হলেও গতকাল বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

জেসমিনের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন,

তার স্বামী জসিম প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সালিশও হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকায় গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। এদিকে জেসমিন দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনও যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করত। শ্বশুর নাকি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “আপনারা টাকা দেন নাই, তাই আমার ছেলের আরেকটা বিয়ে করাব।”

বিজ্ঞাপন

নিহতের স্বজনদের প্রশ্ন,

জেসমিন সাঁতার জানতেন, অথচ তিনিই পানিতে ডুবে গেলেন, কিন্তু সাঁতার না জানা তার প্রতিবন্ধী ছেলে নদী থেকে জীবিত উদ্ধার হলো—এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তারা এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ জানিয়েছে, জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়রা জেসমিনের মৃত্যুকে রহস্যজনক দাবি করে এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।


সম্পর্কিত- আইন - আদালত
0%
0%
0%
0%