জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে সীমিত আকারে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু

ছবিঃ সংগ্রহকৃত
ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (NIOH) এক সপ্তাহের বন্ধের পর সীমিত পরিসরে চিকিৎসাসেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে।
হাসপাতাল গেটের সামনে অপেক্ষমাণ রোগীদের সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, আপাতত সীমিত পরিসরে সেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন তাদেরও আপাতত জরুরি বিভাগ থেকেই সেবা নিতে হবে এবং পরে হাসপাতাল ত্যাগ করতে হবে।
NIOH-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জেন আলম বলেন,
“আজ থেকে জরুরি সেবা চালু হয়েছে। তবে কারও জরুরি চিকিৎসার বাইরে আরও চিকিৎসা প্রয়োজন হলে, তা এখন দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও জানান,
“হাসপাতাল সদ্য চালু হয়েছে। প্রথমে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হবে। কতজন চিকিৎসক কাজে ফিরেছেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।”
গত বুধবার হাসপাতালে কর্মরতদের সঙ্গে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগীদের স্বজনদের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা স্থগিত করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বিকেলে আহতদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে অধ্যাপক আবু জাফর সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও চিকিৎসাসেবা সীমিত পরিসরে চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেই নেওয়া হবে।
পরে মন্ত্রণালয়ে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বুধবার থেকে জরুরি সেবা পুনরায় চালু করা হবে।
তিনি আরও জানান, আহতদের চোখের অবস্থা নির্ণয়ের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা তাদের পরীক্ষা করবেন এবং নির্ধারণ করবেন তারা কোথায় চিকিৎসা নেবেন।