লাহোরে পিএসএল এক্স এলিমিনেটর-২: ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সামনে লাহোর ক্বালান্দার্সের ২০৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য

লাহোরে পিএসএল এক্স এলিমিনেটর-২: ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সামনে লাহোর ক্বালান্দার্সের ২০৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ মে 24, 2025 12:29 পূর্বাহ্ন

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ১০-এর এলিমিনেটর-২ ম্যাচে লাহোর ক্বালান্দার্স টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান করে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সামনে ২০৩ রানের বিশাল লক্ষ্য স্থির করে।

দলটির শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ওপেনার ফখর জামান মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। তবে সেই ধাক্কা সামলে নেন মোহাম্মদ নাঈম এবং আবদুল্লাহ শফিক। তারা দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন।

মোহাম্মদ নাঈম করেন ২৫ বলে ৫০ রান, যেখানে ছিল সাতটি চার ও দুটি ছক্কার মার। এটি ছিল চলতি আসরে তার তৃতীয় অর্ধশতক। নবম ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের বলে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। শফিকও বেশি সময় টিকতে পারেননি; ২৪ বলে ২৫ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন ইউনাইটেড অধিনায়ক শাদাব খানের দুর্দান্ত ক্যাচে, বোলার ছিলেন জেমস নিশাম।

এরপর ব্যাটিং নেতৃত্ব নিজের হাতে তুলে নেন শ্রীলঙ্কান তারকা কুশল পেরেরা। তার ৩৫ বলের ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। ইনিংসের শেষ ওভারে টাইমাল মিলসের বলে বোল্ড হন তিনি। কুশলের সঙ্গে ভানুকা রাজাপাকসে (২২) ও আসিফ আলী (১৫) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন।

ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বোলারদের মধ্যে টাইমাল মিলস ছিলেন সবচেয়ে সফল, তিনি ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সালমান ইরশাদ পান ২টি উইকেট, আর ইমাদ ওয়াসিম ও জেমস নিশাম পান ১টি করে উইকেট। রিশাদ হোসেন রান আউটে কাটা পড়েন।

এ ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিজয়ী দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ২৫ মে ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে। লাহোর ক্বালান্দার্স ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেড যথাক্রমে দুটি ও তিনটি পিএসএল শিরোপা জয় করেছে।

দুই দলের একাদশ ছিল নিম্নরূপ:

ইসলামাবাদ ইউনাইটেড: সাহিবজাদা ফারহান (উইকেটকিপার), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, হায়দার আলী, আগা সালমান, শাদাব খান (অধিনায়ক), জেমস নিশাম, ইমাদ ওয়াসিম, টাইমাল মিলস, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ শহজাদ, সালমান ইরশাদ।

লাহোর ক্বালান্দার্স: ফখর জামান, মোহাম্মদ নাঈম, আবদুল্লাহ শফিক, কুশল পেরেরা (উইকেটকিপার), ভানুকা রাজাপাকসে, আসিফ আলী, সাকিব আল হাসান, শাহিন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), হারিস রউফ, রিশাদ হোসেন, সালমান মির্জা।

দেখা যাক, ২০৩ রানের এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড কীভাবে জবাব দেয়। ম্যাচের ফলই ঠিক করে দেবে কে পাবে ফাইনালে খেলার সোনার সুযোগ।

0%
0%
0%
0%