নিষ্ঠুর স্ত্রীর নির্মম কাণ্ড: বিয়ের আট দিনেই স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা

নিষ্ঠুর স্ত্রীর নির্মম কাণ্ড: বিয়ের আট দিনেই স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশঃ মে 18, 2025 1:22 অপরাহ্ন

কুমিল্লার আখাউড়া উপজেলায় বিয়ের মাত্র আট দিন পর স্বামী মেহেদী হাসানকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার। এই নির্মম ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জান্নাত আক্তারের বিয়ের আগে অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর মেহেদী বারবার শারীরিক সম্পর্কের চাপ দিলে জান্নাত তা মেনে নিতে পারেননি। একাধিকবার আপত্তি জানান তিনি। অভিযোগ রয়েছে, এক পর্যায়ে জান্নাত কৌশলে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বালিশ চাপিয়ে তাকে হত্যা করেন।

মেহেদী হাসান তার মায়ের সঙ্গে আখাউড়া মসজিদ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ৯ মে আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদ পাড়ার আলামিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। তবে বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

জান্নাত স্বামীর উপর নাকি অতিরিক্ত শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিতেন, যা মেহেদী মেনে নিতে পারতেন না। বিয়ের পর এক সপ্তাহের মাথায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে তার অসুস্থতার কথা বাড়ির মালিককে জানান জান্নাত। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সমিউদ্দিন জানান, জান্নাত হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তদন্তে জানা গেছে, জান্নাত তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিলেন না। তার অন্য একজন ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। স্বামীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হওয়ার ফলে তার বিরক্তি ছিল। হত্যার সময় জান্নাত মেহেদীর খাবারে ছয়টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে তাকে অচেতন করে বালিশ চাপিয়ে হত্যা করে।

স্থানীয়রা নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত-
0%
0%
0%
0%