পাক-ভারত উত্তেজনা: সীমান্তে তীব্র হামলা-পাল্টা হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক

পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নতুন রূপ নিচ্ছে। পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তে টিট ফর ট্যাট (Tit for Tat) কৌশলে বড়সড় প্রতিশোধ নিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ইসলামাবাদের বরাতে জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী সীমান্তে ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করেছে।
এতে শুধু মিজাইল বা ড্রোন হামলার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকেনি পাকিস্তান। পাকিস্তানের মন্ত্রী আতাউল্লাহ দাবি করেছেন, তারা সীমান্তে ভারতীয় সামরিক স্থাপনাও ধ্বংস করে দিয়েছে।
এই সংঘাতে ভারতের পাঞ্জাবের পুঞ্জ জেলায় অন্তত ১৬ জন বেসামরিক নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে একের পর এক মিজাইল হামলা চালায় পাকিস্তান। জম্মু, রাজস্থান, এবং পাঞ্জাবে এই মিজাইল ও ড্রোন হামলা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানিয়েছে, পাঠানকোট, জম্মু এবং উধামপুরে সেনাঘাঁটিগুলোর ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে হতাহতের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
উল্টো ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান তারা ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে এফ-৬, জেএফ-৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তবে দুই দেশের দাবির পক্ষে এখনো কোনো দৃশ্যমান ও নিরপেক্ষ প্রমাণ সামনে আসেনি। সীমান্তে যুদ্ধের সাইরেন বাজিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মশালায় আইপিএল ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়ামের আলো এবং দর্শকদের নিরাপদে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত ড্রোন ও মিজাইল হামলায় ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।