নেপালে উত্তাল বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, একাধিক মন্ত্রীরও সরে দাঁড়ানো

নেপালে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করায় পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি। সোমবার তিনি ঘোষণা দেন, সংকট সমাধানে সাংবিধানিক পথ খুলে দেওয়ার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাড়িসহ একাধিক প্রভাবশালী রাজনীতিকের বাসভবন এবং রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
অবস্থার অবনতি ঠেকাতে সশস্ত্র পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। তবে এতে আরও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে তরুণদের মধ্যে, যারা দলে দলে বিক্ষোভে যোগ দিতে শুরু করে।
পরিস্থিতির প্রতিবাদে সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যেও ভাঙন দেখা দেয়। পানিসম্পদ মন্ত্রী প্রদীপ যাদব সরকারের কঠোর দমননীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন। এরপর কৃষি ও পশুপালন মন্ত্রী রাম নাথ অধিকারী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এদিকে, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নেপালের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
চলমান এই রাজনৈতিক অস্থিরতায় নেপালের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমাধান কোন পথে গড়াবে, তা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: BBC