ফকির লালন শাহের মৃত্যুবার্ষিকী ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে ঘোষণা

সরকার ঘোষণা করেছে যে ফকির লালন শাহের মৃত্যুবার্ষিকী ১৭ অক্টোবরকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
এ সিদ্ধান্ত আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ বিকেলে শহরের ফোরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে ১৭ অক্টোবর, মহান বাউল সাধক ফকির লালন শাহের মৃত্যুবার্ষিকীকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, ফকির লালন শাহ শুধুমাত্র একজন গীতিকার বা সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন না; তিনি একজন দার্শনিক এবং জীবনের গভীর জ্ঞানের সন্ধানকারী ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “তার গান প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য বাংলার মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে এসেছে। সমতার দর্শন, মানবপ্রেম এবং অখণ্ডিত মানসিকতার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, লালনের সঙ্গীত দীর্ঘদিন ধরে কেবল বাউল সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে সংস্কৃতির অঙ্গাঙ্গী অংশ হয়ে উঠেছে।
সংস্কৃতিমন্ত্রীয় মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, লালন শাহের মৃত্যুবার্ষিকীকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলিতে গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন প্রেরণা দেবে।
প্রেস সচিব বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতেও সাহায্য করবে। লালন আমাদের বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অমূল্য সম্পদ।”
শফিকুল আলম আরও জানান, পরিষদ অন্য সাংস্কৃতিক Icons যেমন: ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ, চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান এবং রক সঙ্গীতজ্ঞ আইয়ুব বাচ্চুকে সম্মানিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। তবে আজকের বৈঠকে শুধুমাত্র ফকির লালন শাহের মৃত্যুবার্ষিকী সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে।
এর আগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ‘ক’ শ্রেণির দিবসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: BSS