গাজীপুরে রাস্তা অবরোধের অভিযোগে জিএমপি কমিশনারকে শোকজ করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় সড়ক অবরোধ করার অভিযোগে শোকজ নোটিশ পাবেন।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে এবং কমিশনারকে ব্যাখ্যা দিতে শোকজ করা হবে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, একটি পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে ৫০ হাজার টাকা, চাইনিজ রাইফেলের জন্য ১ লাখ টাকা, এসএমজির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এলএমজির জন্য ৫ লাখ টাকা এবং প্রতিটি গুলির জন্য ৫০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তিনি আশ্বাস দেন, অস্ত্র উদ্ধারের তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে যতটা সম্ভব লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে।
নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, এখন প্রচুর নিয়োগ চলছে। কেউ যদি নিয়োগে দুর্নীতির তথ্য দেয়, তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। গত এক বছরে নিয়োগে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নতুন বন্ধু ও আত্মীয় বেড়েছে। কেউ যদি তার বন্ধু বা আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায় করে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানানোর আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন, উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সংবাদ প্রকাশ করতে, তবে ভুল তথ্য যেন প্রকাশ না হয়।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ভারতের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে, তা ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, গণপিটুনি পুরোপুরি নির্মূল না হলেও তা কমেছে।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের ওপর। তারা যদি নির্বাচনমুখী হয়, তাহলে অনেক সমস্যাই কমে যাবে। ইতিমধ্যেই জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন—জাতির আশা একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন। সেই আশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে।