ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার আলোকে সরকার ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে অটল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সরকার নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারেই অনড়।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেওয়া রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই অংশ। তবে নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সরকারের, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। “সরকারের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে,” যোগ করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নানা উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়ে থাকে, এটিও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ। “আপনারা সব সময়ই এটা দেখে আসছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন বক্তব্য নতুন নয়। তাই নির্বাচন সময় নিয়ে যেসব বক্তব্য আসছে, তা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই অংশ,” মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে “বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি” আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
এসময় আইন উপদেষ্টা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে প্রায়ই অতিরিক্ত মূল্য দেখানো হয় এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পগুলোতেও বিতর্ক তৈরি হয়। “আপনারা জানেন বালিশ কেলেঙ্কারিতে কী হয়েছিল। আমরা এমন কেলেঙ্কারি আর দেখতে চাই না। সে কারণেই দুদক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য অভিজ্ঞ এক পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি আজ থেকেই কাজ শুরু করবেন।”
তিনি আরও জানান, প্রকল্প ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। তবে সরকারের মনোযোগ থাকবে উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি প্রতিরোধে। “সেই কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।