তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি বাড়ছে, কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা জানিয়েছেন, খাদ্যাভ্যাসের অবনতি, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও বায়ুদূষণসহ নানা কারণে দেশের তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ অসংক্রামক রোগের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তারা বলেন, এই ঝুঁকি মোকাবেলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সোমবার (১২ আগস্ট) অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত “উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি ও বাংলাদেশের যুব সমাজ” শীর্ষক ওয়েবিনারে এ আলোচনা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহায়তায় অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস’ সোসাইটি, প্ল্যাটফরম ডক্টরস ফাউন্ডেশন, ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ ক্লাব অফ বাংলাদেশ, কাশফুল ফাউন্ডেশন এবং গিভ বাংলাদেশ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল— “প্রযুক্তি নির্ভর যুব শক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি”।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ, যার মধ্যে ১৯ শতাংশই অকাল মৃত্যু। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে তরুণদের মধ্যে এসব রোগ ভয়াবহ আকার নিতে পারে, যা দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি কমিয়ে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। বক্তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়ার উদ্যোগ ইতোমধ্যে শুরু হলেও, দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিবিএইচসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. গীতা রানী দেবী জানান, উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় সরকারের নানা কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং তরুণদেরও কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “তরুণদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা ও সচেতনতার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে।”
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: মারুফ হক খান বলেন, “উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে তরুণদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যুব সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ওয়েবিনারে অংশ নেন।
তথ্যসূত্র: প্রজ্ঞা
