ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় – পিএসজির বিপক্ষে বিধ্বস্ত মায়ামি, ম্যাসচেরানোর দলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিলো প্যারিসিয়ানরা

ক্লাব বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ হলো এক নির্মম বাস্তবতায়। হেভিয়ার মাসচেরানোর দলকে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় করে দিলো ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সাঁ-জার্মাঁ (পিএসজি)। গ্রুপ পর্বে কিছুটা চমক দেখালেও নকআউটে এসে স্পষ্ট হয়ে যায়—এই পর্যায়ের জন্য এখনও প্রস্তুত নয় মিয়ামি।
খেলার শুরুতেই বিপর্যয়ের সূচনা। মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার ম্যাক্সি ফ্যালকনের চরম ভুলে পিএসজির অন্যতম ক্ষুদে খেলোয়াড় জোয়াও নেভেস ব্যাকপোস্টে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান। গোল হজম করার পর থেকেই যেন মায়ামি দিশেহারা হয়ে পড়ে।
পুরো ম্যাচজুড়েই পিএসজি একতরফা আধিপত্য দেখিয়েছে। বাঁ পাশে খভিচা বারবার ত্রাস সৃষ্টি করছিলেন, আর মাঝমাঠে ভিতিনহা ও নেভেসের যুগলবন্দি দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল খেলার ছন্দ।
পিএসজির দ্বিতীয় গোলটিও আসে নেভেসের পা থেকে। এবার ভুল করেন মায়ামির অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেটস। নিজেদের বক্সের ঠিক সামনে বল হারিয়ে বসেন তিনি, আর ফরাসি ক্লাবটির পাঁচটি নিখুঁত টাচের পর বল চলে যায় নেভেসের কাছে—যিনি তা ঠাণ্ডা মাথায় ফাঁকা জালে পাঠান।
এর কিছুক্ষণ পরেই আত্মঘাতী গোল করেন টমাস অ্যাভিলেস। পিএসজির চতুর্থ গোলটি করেন আক্রমণাত্মক ডিফেন্ডার আক্রাফ হাকিমি, রিবাউন্ড থেকে সহজেই বল জালে পাঠিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে রোটেশন ও প্রতিরোধ
বিরতির পর পিএসজি তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে রোটেশন করে। এতে কিছুটা করে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে মিয়ামি। লিওনেল মেসি কয়েকটি আক্রমণে সক্রিয় ছিলেন এবং একবার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মাকে একটি দুর্দান্ত সেভ করতে বাধ্য করেন। তবে সামগ্রিকভাবে তারা ছিলেন নিঃসহায় এবং নিস্তেজ।
এই পরাজয়ের জন্য এককভাবে কাউকে দোষ দেওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবতা হলো—পিএসজি একটি বিশ্বমানের দল, যাদের দাপটে খেলায় টিকে থাকা ছিল মায়ামির জন্যই একপ্রকার যুদ্ধ।
অবশেষে, ইন্টার মিয়ামির ক্লাব বিশ্বকাপ যাত্রা থেমে গেলো অপ্রত্যাশিত এক পরিণতিতে। পিএসজির বিপক্ষে কোনো অলৌকিকতা ঘটাতে পারলেন না লিওনেল মেসি। দর্শক হয়ে বাকিটা দেখতে হবে এখন তাদের।