এলপিজি সিলিন্ডারে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করলো লোয়াব

বাংলাদেশী গ্যাস সিলেন্ডার
এলপিজি সিলিন্ডারে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)। সংগঠনটি সতর্ক করেছে, এই পদক্ষেপ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং কোটি কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে।
লোয়াব সভাপতি মোহাম্মদ আমিরুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত কমে আসছে এবং নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে—এমন সময়ে এই কর বৃদ্ধির প্রস্তাব ‘গুরুতর হুমকি’ তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, “এলপিজি এখন লাখো পরিবারের প্রধান বিকল্প জ্বালানি। ভ্যাট বাড়ানো হলে এটি অনেকের কাছে অপ্রাপ্তিযোগ্য হয়ে উঠবে এবং যারা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
লোয়াবের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে প্রতি বছর ১৫ লাখ টনের বেশি এলপিজি আমদানি হয় যার ৯৭ শতাংশই রান্নার কাজে ব্যবহার হয়। এই ব্যবহারের পরিমাণ প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ঘনফুট (mmcfd) প্রাকৃতিক গ্যাসের সমতুল্য, যা দেশের ৪০ লাখের বেশি পরিবারকে জ্বালানি সরবরাহে সহায়তা করে।
আমিরুল হক আরও বলেন, “গ্রামাঞ্চলে কাঠ বা জৈব জ্বালানির বদলে এলপিজি ব্যবহারে বন উজাড় কমেছে। ফলে এলপিজি শুধু জ্বালানি নয়, এটি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
তিনি জানান, দেশে বর্তমানে ৪ কোটির বেশি এলপিজি সিলিন্ডার প্রচলিত রয়েছে এবং প্রতি বছর চাহিদা বাড়ছে। “এই অবস্থায় ভ্যাট বৃদ্ধি শুধু পরিষ্কার জ্বালানির প্রসারে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, বরং নিম্ন আয়ের জনগণের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে,” বলেন লোয়াব সভাপতি।
এ প্রেক্ষিতে, লোয়াব সরকারকে প্রস্তাবিত ভ্যাট বৃদ্ধি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জনকল্যাণের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।